চেয়ারম্যানের দক্ষ ও দূরদর্শী চিন্তার জন্য বিআরটিসি এখন সর্বত্র প্রশংসিত। কর্পোরেশনের স্বার্থবিরোধী, সুনাম বিনষ্টকারী, স্বার্থান্বেসী মহল প্রতিষ্ঠানটির বাইরের কতিপয় সদস্যদের যোগসাজশে বিআরটিসির উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার জন্য এবং চেয়ারম্যানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিআরটিসির ১৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও জালিয়াতি করে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করে। এই মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৬/১২/২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম ফারুক, ডিজিএম (এস্টেট), বিআরটিসি কর্তৃক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে পল্টন থানা, ডিএমপি, ঢাকায় মামলা দায়ের করা হয়। পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ ধারা ৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ পেনাল কোডে তারিখ: ০৬/১২/২০২৩ খ্রিঃ মামলা নং-১৩ রুজু করেন। বিআরটিসির সার্বিক নিরাপত্তা এবং বর্ণিত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে চেয়ারম্যান, বিআরটিসির সভাপতিত্বে মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, পিপিএম পল্টন ও মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জের উপস্থিতিতে একটি নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির সব পরিচালক, জিএম, ডিজিএম, ঢাকাস্থ ম্যানেজারসহ ঢাকার বাইরের ম্যানেজাররা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘বিআরটিসি’র উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিভিন্ন মহল কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। বিআরটিসি একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা তাই বিআরটিসির ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে। দায়েরকৃত মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা বাইরের যাদের জড়িত পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলমান হরতাল অবরোধের মধ্যেও প্রথম কর্ম দিবসে বেতন প্রদান করা হয়েছে। দেশে যান চলালাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য হরতাল অবরোধের মধ্যেও যাত্রীসেবা অব্যাহত রয়েছে। বিআরটিসি’র উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেসী মহল তৎপর রয়েছে। এসব অপকর্ম রুখতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’ পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক সভা শেষ হয়।