নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে হলে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে মনে করেন বক্তারা। তাঁর উদারতা, মানবতা সৃষ্টি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে একত্রে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতেও অনন্য ভূমিকা পালন করেন বলে জানান তারা।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য শীর্ষক’ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) রচিত গ্রন্থ ও কর্মজীবন থেকে তরুণদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেওয়ার আছে। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার আদর্শ ও ধ্যান-ধারণাকে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মের সাথে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র)-এর জীবন ও সমাজ গঠনে তাঁর যে অবদান, সেগুলো সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল এই যুগে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ করে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেমিনারে বক্তব্য দেন ঢাবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, আমরা মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শামীমা ইসলাম তুষ্টি, এটিএন বাংলার সংবাদ পাঠিকা শারমিন মিশু। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
