ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)-এর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন জানায়, গতকাল সোমবার ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে শতাধিক ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কোষাধ্যক্ষ ডা. আব্দুল জলিল, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক ড. নায়লা পারভীন। ডা. আব্দুল জলিল তার বক্তব্যে বলেন, রক্তদান একটি মানবসেবা ও পূণ্যের কাজ। রক্তদানে কোনো ক্ষতি হয় না বরং উপকার হয়। রক্তদান হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে সরবরাহকৃত রক্তের মধ্যে বেশিরভাগ আসে পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে যা অত্যন্ত ভয়ংকর কেননা পেশাদার রক্তদাতাদের মাধ্যমে সিফিলিস, এইডসসহ ভনায়ক কিছু রোগ সংক্রমণের ভয় থাকে। অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে সৃষ্টির সেবা করা হয় যেটা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মূলনীতির অংশ।
সুতরাং সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, সৃষ্টির সেবার মাধ্যমেই স্রষ্টাকে পাওয়া সম্ভব আর রক্তদানের মাধ্যমে আপনারা সেই সুযোগটা গ্রহণ করছেন। এজন্য আপনাদের প্রতি অভিনন্দন জানাই। এ কাজের মাধ্যমে আপনারা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) আদর্শ ধারণ করবেন বলে আমি মনে করি। ইকবাল মাসুদ তার স্বাগত বক্তব্যে শহীদ বাপ্পী স্মৃতি সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রক্তদানের মতো কর্মসূচি আহ্ছানিয়া মিশন শুরু করল যেটা সবার প্রচেষ্টায় আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।