প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
রাজধানীর গ্রীনরোডস্থ পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয় শীর্ষক সেমিনার গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। বিডাব্লিউডিবি জানায়, সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দেশের কাঙ্ক্ষিত আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি, মৎস্য, বনায়ন, পানি ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে এই বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ অন্যান্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয় করবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। মুখ্য সচিব আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী বদ্বীপ গড়ে তোলার রূপকল্প বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী কল্যাণ চিন্তার একটি প্রতিফলন। পানি, পরিবেশ, জলবায়ু, ভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি অংশীজন সমন্বয়সমুহকে বিবেচনা করে বিনিয়োগ এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। শতবর্ষী এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা: সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয় শীর্ষক উপস্থাপনা করেন মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সি ই জি আই এস); মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন মল্লিক সাঈদ মাহবুব, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।