ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে উগ্রগোষ্ঠী

নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে উগ্রগোষ্ঠী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বয়কটকারী দলগুলো উগ্রগোষ্ঠীর মাধ্যমে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ১১টি সংগঠনের মোর্চা ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স। নির্বাচনের আগে, ভোটের দিন ও পরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাড়াতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা। লিখিত বক্তব্য আশঙ্কা ও দাবি তুলে ধরেন মোর্চার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা ফারুক মলি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত ১১টি সংগঠনের মোর্চা ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স।

আমরা নিয়মিত বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকি। এবারো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের লক্ষ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ পূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরি করে উপস্থাপন করা এবং নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা। নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি তারা উগ্রগোষ্ঠীদের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে আরো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে। তাই নির্বাচনের আগে ও ভোটের দিন এবং পরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ ভোটকেন্দ্র নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের কিছু সুশীল সমাজ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরোক্ষ প্রচেষ্টা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইমসহ নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের পদক্ষেপ নিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রশ্নে তিনি বলেন, কারা নির্বাচনে আসছে, আর কারা আসছে না, এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। নির্বাচনের পরিবেশ, ভোটারদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এসব বিষয়ে আমাদের কাজ। তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে ৩ হাজার ৮৯৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচনের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ হবে অর্থবহ। অন্যথায় বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রভাব সাধারণ ভোটারদের মাঝে পড়েছে বলে আমরা ধরে নেব। নির্বাচনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, তপ্সিল ঘোষণার পর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল, প্রভাবশালী প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তলব এবং শুনানির মাধ্যমে পুনরায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া এসব কার্যক্রম কমিশনের কার্যক্রমগুলো ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত