খোঁজখবর নিয়ে নারীকর্মীদের বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক নারী কর্মীদের সব ধরনের খোঁজখবর নিয়ে তারপরে কর্মস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
একইসঙ্গে প্রবাসীদের অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। গতকাল ঢাকার এফডিসিতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে অভিবাসী কর্মীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদের বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমাদের নারী কর্মীরা বিদেশ যাচ্ছেন। নারী কর্মীরা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্যদের মতো সব দেখেশুনে যাবেন। বিশেষ করে, প্রাক বিদেশ গমনের আগে জানতে হবে তার কর্মস্থল কোথায়, তার কী কাজ করতে হবে, সেখানকার পরিবেশ কী, সেখানকার আবহাওয়া কেমন; সেখানকার ভাষা কি। এসব বিষয় তাদের জানতে হবে। ২০১৯ সালে সৌদি আরব থেকে লাশ হয়ে দেশে ফেরা খুলনার আবিরন বেগমের উদাহরণ টেনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আবিরনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, তাকে ভাষা সংক্রান্ত একটা ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। উনি জানতেন না এ ধরনের একটা ভুয়া সার্টিফিকেট তাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও কঠিন হতে হবে, যেন এ ধরনের কাজ আর কারও সঙ্গে না হয়।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দায়বদ্ধতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আগে আরও বেশি অব্যবস্থাপনা ছিল। আগে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এখন তারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। যারা বিদেশ যাবেন তারা আগে তালিকা দেখে নেবেন, যাদের মাধ্যমে বিদেশ যাচ্ছেন, সেই রিক্রুটিং এজেন্সি তালিকাভুক্ত কি না। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। চৌধুরী কিরণ বলেন, যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা চলতি বছর ২৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করেছেন, তাদের সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি এখনো আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। সরকারের নীতি কৌশল, বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। আমাদের জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৫.২ শতাংশ অথচ নেপালের জিডিপিতে প্রবাসী আয় ২৭ শতাংশ আমাদের এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা নিলামের মাধ্যমে ভিসা কিনে থাকে। একজন ভিসার দাম ১০০ টাকা বললে আরেকজন ১১০ টাকা বলে।