‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যরা। গতকাল শনিবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা প্রকল্পের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন ভৌত-অবকাঠামোর কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে পিআইসির দশম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিআইসি’র সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি বস্তবায়ন অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভার শুরুতে প্রকল্পের পরিচিতি, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, অগ্রগতি এবং অঙ্গভিত্তিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান। সভায় সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সন্তোষ প্রকাশ করেন সদস্যরা। এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার ও এর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। সভায় উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ছাদে ২১৬টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১২ শতাংশ পূরণে সক্ষম হচ্ছে। আগামীতে অন্যান্য ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে সৌর বিদ্যুৎ থেকে। তিনি আরো বলেন, এই সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ মাস ধরে প্রতিমাসে প্রায় ১ লাখ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় এবং ১৮ টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হয়েছে।