শিক্ষাবিদ ও সুফি সাধক খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জন্মের সার্ধশত বর্ষ (১৫০তম জন্মজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে গত শনিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় নলতা শরীফ কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের পাশাপশি এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, একদিকে একজন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হিসেবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা যেমন সর্বজনবিদিত অন্যদিকে ব্রিটিশ-ভারতের অবিভক্ত বাংলায় মুসল্লম রেনেসাঁয় তার ভূমিকা অবিসংবাদিত। তার জন্ম বঙ্গীয় মুসমানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে তার জীবন ও কর্ম বিস্তৃত হলেও একবিংশ শতাব্দিতে তার জীবনাদর্শ আরো প্রবলভাবে প্রবাহিত। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বরেন্দ্র-গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা এবং বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ইমরুল ইউসুফ। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, ঢাকা মহানগর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ প্রমুখ। আলোচকগণ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর জীবন-কর্মণ্ডঅবদান নিয়ে আলোচনা করেন এবং জন্মসার্ধশতবর্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেমিনার অতিথিগণ এতিমখানার শিশুদের কবিতাসংকলন ‘কবিতা-লহরী’র মোড়ক উন্মোচন করেন।