কোটা পুনর্বহালসহ তিন দাবি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা পুনর্বহাল; ৪১তম বিসিএসে পাসকৃত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশ; ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ বিসিএসে কোটা পুনর্বহাল করার পর নিয়োগ দেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সুশান্ত ত্রিপুরা বলেন, আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের একমাত্র আশার আলো প্রধানমন্ত্রী। আমাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য ও বাসস্থান সবকিছুর ব্যবস্থা আপনার সরকার করেছে। কিন্তু তবুও আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তা পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমাদের আর্থিক অবস্থা ও ভাষাগত সমস্যার জন্য আমরা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছি, যা ভিশন ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনের পথে অন্যতম অন্তরায়। তিনি বলেন, অপরাপর জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর জনসংখ্যা বাড়ার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। তার অন্যতম কারণ আমরা এখনও শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। তদুপরি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিসিএসসহ সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেওয়ার পর আমাদের পক্ষে চাকরির বাজারে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমাদের পক্ষে দিন দিন চাকরি পাওয়ার আশা হ্রাস পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আমরা প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পরও সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছি না। সুশান্ত ত্রিপুরা বলেন, ৪০তম ও ৪১তম বিসিএসে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে শুধুমাত্র একজন করে ক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশ করা হচ্ছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে বাধাস্বরূপ। আমরা ২০১৯ সালে ৪১তম বিসিএসে আবেদন করি। যার চূড়ান্ত রেজাল্ট দেওয়া হয় গত ৩ আগস্ট, ২০২৩। প্রায় চার বছর পর। সেখানে দেখা যায়, আমরা মাত্র ২৪ জন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করি। কিন্তু মাত্র ২৪ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শুধু মৌখিক পরীক্ষা দিলেও আমাদের থেকে শুধুমাত্র একজনকে ক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশ করা হয়েছে। এভাবে হতে থাকলে আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তা একদিন হারিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার কাছে সাধারণ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের আকুল আবেদন, আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কোটা সংরক্ষণ ও পুনর্বহাল করার ব্যবস্থা করার জন্য এবং আমরা যারা ৪১তম বিসিএসে পাস করেছি কিন্তু ক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি আমাদের জন্য ক্যাডার সার্ভিসে সুপারিশের ব্যবস্থা করে নতুন জীবন দান করার জন্য, যা আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এবং ভিশন ২০৪১ অর্জনের পথকে সুগম করবে।