উত্তরায় নলতা শরীফ কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনে

বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুফি সাধক খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর জন্মের সার্ধশতবর্ষ (১৫০তম জন্মজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে গত শনিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় নলতা শরীফ কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের পাশাপাশি এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, একদিকে একজন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হিসেবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা যেমন সর্বজনবিদিত অন্যদিকে ব্রিটিশ-ভারতের অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম রেনেসাঁয় তার ভূমিকা অবিসংবাদিত। তার জন্ম বঙ্গীয় মুসলমানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে তার জীবন ও কর্ম বিস্তৃত হলেও একবিংশ শতাব্দিতে তার জীবনাদর্শ আরো প্রবলভাবে প্রবাহিত। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক।

তিনি বিভাজনপূর্ব ভারতে শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বরসহ অসংখ্য সংস্কার সাধন করেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন ছিল খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অসামান্য অবদান। আজ থেকে দেড়শ’ বছর আগে যে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে আলোর পাদপ্রদীপে আজ সমগ্র বাংলা আলোকিত।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বরেন্দ্র-গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা এবং বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ইমরুল ইউসুফ। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, ঢাকা মহানগর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ প্রমুখ।

আলোচকরা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর জীবন-কর্ম-অবদান নিয়ে আলোচনা করেন এবং জন্মসার্ধশতবর্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেমিনার অতিথিদের এতিমখানার শিশুদের কবিতা সংকলন ‘কবিতা-লহরী’র মোড়ক উন্মোচন করেন।

সেমিনারের পাশাপাশি এতিমখানা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। হার্ট, মেডিসিন, গাইনি, অর্থোপেডিকসহ বিভিন্ন বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। সেবা গ্রহণকারীদের আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবারহ করে।