পুরান ঢাকার গির্জাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল পুরান ঢাকার বিখ্যাত চার গির্জা লক্ষ্মীবাজারের হলিক্রস গির্জা, সদরঘাট ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান গির্জা ও শাঁখারী বাজারের সেন্ট থমাস চার্চে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
দিনটি ঘিরে ছবি তোলা, যিশুর জন্ম উপলক্ষ্যে কেক কাটা, প্রার্থনাসহ নানা আয়োজন করা হয়। গির্জাগুলো ঘুরে দেখা যায়, গির্জায় বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রদর্শন করা হচ্ছে সদ্যোজাত যিশু, যিশুর মা মেরি ও প্রাপ্তবয়সি যিশুর মূর্তি। খ্রিস্টান ধর্মের নারী-পুরুষরা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। ঢাকা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক রেভারেন বার্নাবাস হ্যামরোন বলেন, বড়দিন হলো ঈশ্বর যিশু খ্রিস্টের পৃথিবীতে আগমনের দিন।
মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তিনি পৃথিবীতে আসেন। বর্তমান বিশ্ব যুদ্ধ-বিগ্রহে অস্থির। এ সময় যিশুর দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চার্চের সহ-পালক রিনা রায় বলেন, যিশু পৃথিবীতে যেমনি খ্রিষ্টানদের ভালোবাসা পেয়েছেন, তেমনি মুসলমানরাও তাকে সম্মান করেন। তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন এবং সব পৌত্তলিকতার অবসান ঘটাবেন।
হলিক্রস চার্চে প্রার্থনায় আসা বিকাশ বাড়ৈ বলেন, যিশু শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ইহুদিরা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে। তিনি আবারো পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। এদিকে গির্জাগুলোয় নিরাপত্তায় এদিন মোতায়েন করা হয় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ। সকাল থেকে সারা দিনই পুলিশ সদস্যরা গির্জার ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন।