খাদ্যসামগ্রী ও মাদকদ্রব্যসহ ১৯ পাচারকারী আটক

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সেন্টমার্টিন্সের ছেঁড়াদ্বীপে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ এবং টেকনাফের লম্বরি ঘাট হতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে খাদ্যসামগ্রী ও মাদকদ্রব্যসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার হতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাচার হবে।

প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল আনুমানিক বেলা ৩টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন সেন্টমার্টিন কর্তৃক টেকনাফ থানাধীন সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ছেঁড়াদ্বীপ কেয়াবনের মধ্যে পাঁচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৩১টি ধূসর রঙের পরিত্যক্ত বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক বস্তাগুলো তল্লাশি চালিয়ে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় কোনো পাচারকারী না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস), বিদেশি মদ ও বিয়ার-পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

অপরদিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফ থানাধীন লম্বরি ঘাট হতে কাঠের বোটযোগে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও তেল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করা হবে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল আনুমানিক বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন টেকনাফ লম্বরি ঘাট হতে কয়েকটি কাঠের বোটকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে গমন করতে দেখা যায়। এ সময় কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক বোটগুলোকে ধাওয়া করে আটক করা হয় এবং বোটগুলো তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার পাচারের উদ্দেশ্যে বোটে রাখা ১৫ বস্তা শুকনা মরিচ, ৪০ বস্তা পেঁয়াজ, ১ বস্তা তামাক পাতা, ৩ বস্তা টেস্টিং সল্ট, ১৮২১ লিটার অকটেন, ৩৭৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৬ লিটার ডিজেলসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটককৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ কাস্টমস ও টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।