বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব

বললেন মেয়র আতিক

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতি দুই মাসে একদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। প্রতি দুই মাসে শেষ গত সোমবার একদিন ডিএনসিসির অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বসব। আপনাদের কথা শুনব। আপনাদের সমস্যা সমাধান করব। তাছাড়া যেকোনো সময় আপনাদের সমস্যা হলে আমার দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের মোট ১ হাজার ৩০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মেয়র বলেন, ‘উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোনো সেবা নিতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের যেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা যদি কোনো সেবার জন্য উত্তর সিটিতে আসেন, তাহলে তাদের কোনো হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে তাদের কথা শুনতে হবে, কাজ করে দিতে হবে। বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের বাসায় গিয়ে সেবা দিয়ে আসতে হবে। তাদের কোনো কাজে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই কবরস্থানগুলো আমরা সারা জীবনের জন্য সংরক্ষণ করব। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন?্য নির্ধারিত কবরস্থান ১০ বছর সংরক্ষণের পরিবর্তে আজীবন বিনামূল্যে সংরক্ষণ করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জন্য দেশ দিয়েছেন, আমরা তাদের জন্য আমাদের আওতায় থাকা সামান্য সেবাটুকু দেব। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেনে, তাদের যদি আমরা সম্মান না দেই তাহলে কিসের সিটি কর্পোরেশন। মুক্তিযোদ্ধারা লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা উত্তরের সড়কগুলোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে।’ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনারা যেভাবে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন আগের কোনো সরকার; কিন্তু আপনাদের সেভাবে সম্মান দেয়নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি আমাদের যা দিয়েছেন এবং যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটা কেউ দিতে পারবে না। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন থাকবে দেশ, ততেদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। একসময় এই দেশে রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পাতাকা উড়ত। সেটি ছিল জাতি হিসেবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।