রাজশাহী বিভাগের ৫৮ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব আসনেই এখন চলছে শেষ সময়ের প্রচারণা। অপরদিকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ করছেন স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন আসনের পরিবেশ বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মূলত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৫ হাজার ৪৩২ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮ শতাংশই ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। প্রার্থীরা বলছেন, এরই মধ্যে কেন্দ্রসহ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সব প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলা করলে কেউ ছাড় পাবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আসন রয়েছে ৩৯টি। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৩ প্রার্থী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ৫ হাজার ৪৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৩ হাজার ১১৯টি। জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ৩১০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩২৫, নওগাঁয় ৪১৪, নাটোরে ২৪৫, পাবনায় ৪৯৬, সিরাজগঞ্জে ৪৬৬, বগুড়ায় ৬৬২ এবং জয়পুরহাটে ১৮৯ কেন্দ্র রয়েছে। রাজশাহী সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিুকর রহমান বাদশা বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের এই শক্তি নেই যে ভোট বন্ধ করতে পারবে। তবে তারা ভোটের আগের দিন পাড়া-মহল্লায় ককটের ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে কোনো সংঘাত নয়, কেন্দ্রে ভোটার আনতে হবে। রাজশাহী-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, চরাঞ্চলে যেসব কেন্দ্র রয়েছে সেগুলো দুর্গম এলাকা। আমি নির্বাচনি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। তবে নেতাকর্মীরা অতীতের মতো এখনো সজাগ আছে। আমাদের সবার প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হোক। রাজশাহী সদর আসনের জাসদের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেহেতু নির্বাচনে আসেনি। সে দিক থেকে নাশতকার শঙ্কা থেকেই যায়। একটা ঝুঁকি তো আছেই। সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও তৎপরতার সঙ্গে মোকাবিলা করবে বলে প্রত্যাশা করি। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান বলেন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯টি আসন রয়েছে। একটি সদরে বাকি ৩৮টি রেঞ্জের মধ্যে।