রাজশাহীতে গণপরিহণ চলাচল ও সভা-সমাবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। একদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অন্যদিকে বিএনপির হরতাল কর্মসূচি- সব মিলিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় রাজশাহীতেও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলাজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর রেলগেট, নিউ মার্কেট, বর্নালি, ভদ্রা ও সাহেব বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীরাও চলাচল করছেন নির্বিঘ্নে। তবে দিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে কমে আসছে জনসাধারণের চলাফেরা। এরইমধ্যে গণপরিহণ চলাচল ও সভা-সমাবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। গত ২ জানুয়ারি রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ৬ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত তথা রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল করা যাবে না। একইসঙ্গে গতকাল মধ্যরাত ১২টা থেকে আগামী ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে জরুরি কাজে নিয়োজিত অর্থাৎ অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত গাড়ির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। আর রিটার্রিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রেও শিথিল করা হবে এ নির্দেশনা। এছাড়া নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শকদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে শিথিল থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা। এরপর গত ৩ জানুয়ারি পৃথক আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তিতে সভা-সমাবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। শামীম আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আগামী মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের জনসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। এদিকে, পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।