ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিশু আয়ানের মৃত্যু

ডাক্তারদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ডাক্তারদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশু আয়ানের মৃত্যুর জন্য দোষী ডাক্তারদের গ্রেফতার করা না হলে ইউনাইটেড হাসপাতাল ঘেরাও করা হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানী বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে একথা বলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাজমুল হাসান। মানববন্ধনের আয়োজন করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে যে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়েছে এর ফলে তার পরিবারকে যথাযথ আর্থিক জরিমানাসহ চিকিৎসায় জড়িত ডাক্তারদের কঠোর শাস্তির আয়তায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিশু আয়ানের সুন্নতে খাতনায় যেন কষ্ট না হয় সেজন্য দেশের নামকরা একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর সুন্নতে খাতনা করানোর আগে তার বেশ কিছু শারিরীক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছিল। তখন তার কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না। ডাক্তার তার রিপোর্ট দেখে বলেছিল, আয়ানের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক। শিশু আয়ান তখন হেঁটে হাস্যোজ্জল অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে। আয়ানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর ডা. সাব্বির তাকে অতিমাত্রায় অ্যানেস্থেসিয়া প্রদান করে। ডাক্তার সাব্বির ১৯ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানেস্থেসিয়ান। এরপর সার্জারি ডাক্তার তাসনুভা মেহজাবিনসহ বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাস করানো হয়। যার ফলে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এই ডাক্তারদের মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া নেই। মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দেয়ার জন্যই ৭ জানুয়ারি রাত ১২টায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘোষণা করা হয় এমন অভিযোগ করে নাজমুল হাসান আরো বলেন, ‘এরপর ডাক্তাররা শিশু আয়নকে তরিঘরি করে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠায়।

তারা চেয়েছিল অন্যসব ঘটনার মতন এই ঘটনাও যেন ধামাচাপা পড়ে যায়। এ জন্যই ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন শিশু আয়ানের মৃত্যুর খবর তারা ঘোষণা করে। যাতে করে নির্বাচনের কারণে এই খবরটা ধামাচাপা পড়ে যায়। যখনই স্বাস্থ্য সেক্টরে এমন কোনো ঘটনা ঘটে, তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো অতিঘরি করে তদন্তের নামে বিভিন্ন ফুলঝুড়ি ছোড়েন। কিন্তু যখন এসব বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগীদের কেউ রাস্তায় থাকে না, আন্দোলন করে না, আর তখনই এসব তদন্তের ফাইলগুলো গায়েব হয়ে যায়। ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহবুবা ও তার নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টির তদন্তের ফাইলটিও এখন গায়েব হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত