সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের কাজ হচ্ছে

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও প্রশমন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে। গতকাল আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ ভবনে ‘কপ-২৮ : বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ : এক্সপেকটেশন অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেজ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন। পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন-এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানে কপ-২৮ সম্মেলনের অভিজ্ঞতার ওপর উপস্থাপনা দেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ। ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় বহির্বিশ্বের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজস্ব সম্পদ ও সক্ষমতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান এবং ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন প্রণয়ন করেছে এবং এসবের বাস্তবায়ন চলছে। এ ধরনের সাহসী ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৮ সম্মেলনে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’- এ ভূষিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয়। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও প্রতি বছর ৪.৫-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য বিষয়ে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে পিকেএসএফ এবং এ সব কার্যক্রম সুচারুরূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পিকেএসএফ-এ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এ ইউনিটের উদ্যোগে পিকেএসএফ-এর ওয়েবসাইটে একটি ‘নলেজ হাব’ সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে জলবায়ু সম্পর্কিত বিস্তৃত তথ্য-উপাত্ত সবার ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।