গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় অতিষ্ঠ করে তুলছে জনজীবন। সকালবেলা কুয়াশা একটু কম থাকল রাতের বেলায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশা ভেদ করে রাতের বেলা চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। গতকাল নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে রাজধানী ঢাকাতে কুয়াশা কম থাকলেও গাজীপুর কোনাবাড়ী থেকে শুরু করে টাংগাইল পর্যন্ত মহাসড়কে ভয়ংকর ঘন কুয়াশার মধ্যে যানবাহনগুলো কম গতিতে চলতে দেখা যায়। সড়কে কুয়াশা এতই ঘন প্রত্যেকটি পরিবহনের চালক-যাত্রীরা যেন জীবনে ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছে। প্রতিদিনই রাজধানী থেকে সারাদেশে যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের পরিবহন। রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন কোম্পানির দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী বহন করে উত্তরবঙ্গের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, রাজশাহী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। রাজধানী ঢাকাতে কুয়াশা কম থাকল রাজধানী ছাড়ার পরপরই ঘনকুয়াশা ভেদ করে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। মাইক্রোবাস চালক রুহুল আমিন জানান, রাতের বেলা ঘন কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো একটু কষ্টের ব্যাপার একটু ভুল হলেই জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাতে কুয়াশা বেশি থাকলে গাড়ির গতি কমিয়ে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে হয়। বেশি গতিতে গাড়ি চালালে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা করতে পারে। রুহুল আমিন আরো জানান, রাতে বেশি কুয়াশা থাকলে রোড মার্কিং দেখেই গাড়ি চালাতে হয় নয়তো বা গাড়ি নির্দিষ্ট লাইন ছেড়ে অন্যত্র পড়ে যেতে পারে বা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। এছাড়াও ঘন কুয়াশার মধ্যে গাড়ির পিছনে ব্যাকলাইট যদি দুর্বল থাকে তাহলে পেছন থেকে যেকোনো সময় অন্য গাড়ি ধাক্কা দিতে পারে। এজন্য সকল ধরনের গাড়ির পেছনের ব্যাকলাইট বেশি পাওয়ারের লাগাতে হয়।