রংপুরে সিনেমা হলের নাম আছে অস্তিত্ব নেই
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর
রংপুরে সিনেমা হলের নাম আছে অস্তিত্ব নেই। এক সময় ১২টি সিনেমা হল চালু থাকলেও এখন চালু মাত্র দুটি সিনেমা হল। টাউন হল ছাড়াও এক যুগ আগেও রংপুরে অন্তত ১২টি সিনেমা হল সচল ছিল। ওই সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রের দাপট আর সিনেমা হলগুলোর জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি ছিল ব্যাপক। বর্তমানে বেশিরভাগ হলের অস্তিত্ব না থাকলেও এখনো ‘লক্ষী হলের মোড়’, ‘ওরিয়েন্টাল মোড়’ ‘দরদী হলের মোড়’ ‘নুরমহল (আকাশ) মোড়’ ‘বিডিআর হল মোড়’ ‘সেনা অডিটরিয়াম মোড়’ ও ‘শাপলা হল’ ‘চায়না হল’ ও ‘মিতালী হল’সহ বিভিন্ন হলের নামডাক বা খ্যাতি রংপুরে রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে সিনেমা হল ব্যবসায় অকল্পনীয় ধ্বস আর অশ্লীলতায় ভরা নিম্নমানের নকল চলচ্চিত্র নির্মাণে মুখ থুবড়ে পড়েছে সিনেমা হল। দর্শকরাও হয়েছে হলবিমুখ। যে কারণে হল মালিকরা ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। সিমেনা হলগুলোতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তালা। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে রংপুরের বেশির ভাগ সিনেমা হলই এখন শুধুই ইতিহাস। সচলের খাতায় এখন শুধুমাত্র শাপলা টকিজ ও আকেশ টকিজের নাম। বাকি সব বন্ধ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অশ্লীলতায় ভরা নিম্নমানের ও নকল ছবি নির্মাণ সিনেমা হল থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে দর্শকদের। তাছাড়া সিনেমা হলগুলোর পরিবেশ বর্তমানে ভদ্রলোকের অনুকূলে নয়। বর্ধিত সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ রংপুর জেলার মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র শাপলা টকিজ ও আকাশ টকিজে নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ দুটি সিনেমা হলের অধিকাংশ দর্শকই সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর। সঙ্গে রয়েছে নোংরা বিনোদনে অগ্রহী উঠতি বয়সের বখাটে যুবক ও যুবতীদের হিড়িক।
তবে মাঝে মধ্যে এই হলে ভালো মানের দেশীয় বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়। তখন অবশ্য সিনেমা পিপাসু সব বয়সি দর্শকের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে ১৯৭৮ সালে গড়ে ওঠা থাকা শাপলা টকিজ। এই হলটির মূল মালিক নজরুল ইসলাম মাসুমের মৃত্যুর পর তার ভাই মিন্টু মিয়া হলের দায়িত্ব নেন। কিন্তু হলের ব্যবসা ভালো না হওয়ায় শাপলা টকিজ ভাড়া দিয়ে দেয় কামাল হোসেন নামে এক চলচ্চিত্র প্রযোজকের কাছে। সেই শাপলা টকিজের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন শাহাবুদ্দিন নামে হল ব্যবস্থাপক।