অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে অবশ্যই ক্রয় রসিদ নিতে হবে। বাজারে অযথা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে। মাদক, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহার করে অপরাধ ও অনলাইন জুয়ার বিস্তার পুরোপুরি বন্ধ করা প্রয়োজন। বোরো আবাদের সময় কৃষিজমিতে লবণ পানির প্রবেশ বন্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, যেকোনো অপরাধ বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সঠিক দায়িত্ব পালন করা পুলিশের জন্য সহজ হয়। তাই ছোট অপরাধ সম্পর্কেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে। মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। আইন ও রাষ্ট্রের চেয়ে কেউই শক্তিশালী নয়। জনগণ সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকাটাই স্বাভাবিক। নতুন ভূমি আইন বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার খালের পানিতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সভায় সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান বলেন, দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিক শীতের সময় শিশু ও বয়স্কদের উষ্ণ পরিবেশে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শীতের সময় আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাই আগুন ব্যবহার করে উষ্ণতা লাভের চেষ্টা পরিহার করা উচিত। খুলনা জেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে অভিযান জোরদার করা প্রয়োজন। সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জালের মাধ্যমে মাছ ধরার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য প্রয়োগের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এজেডএম তৈমুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা।