বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ট ও প্রফেশনাল কোর্স খোলার পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়ন ও বেকার সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্ট কোর্স ও প্রফেশনাল কোর্স পরিচালনা করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা লাঘবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বিভিন্ন শর্ট ও প্রফেশনাল কোর্স খুলতে পারে। অন্তত একটি কোর্স শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। এসব কোর্স করার মাধ্যমে তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।

ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মকৌশল ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। ইউজিসির ইনোভেশন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তরুণরাই দেশের সম্পদ। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিতে হবে। তিনি বলেন, শ্রম বাজারে দক্ষ জনবলের চাহিদা নিরূপণে ইউজিসি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে স্মার্ট ওয়েবসাইট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তথ্যসমৃদ্ধ ও হালনাগাদ করা প্রয়োজন। এছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব, লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা এবং সার্বক্ষণিক অন্যান্য সেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ। এছাড়া কমিশনের ইনোভেশন কমিটির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট প্রবীর চন্দ্র দাস এবং ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও আইটি কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।