শীতে কাঁপছে পুরো দেশ। রাজধানীতেও অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গত বেশ কয়েক দিনের শীতে যখন জবুথবু জনজীবন, তখন গরম কাপড় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি। হাড়কাঁপানো শীতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে বিক্রি। বাড়তি বিক্রিতে লাভের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশে চট বিছিয়ে কাপড় রেখেছেন। ক্রেতারাও আসছেন। অনেকেই হাঁক ছেড়ে ক্রেতাদের ডাকছেন। একদরের দোকানেরও দেখা মেলে সেখানে। আবার দরদাম করে কেনার সুযোগও পাচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া থাকার কারণে তাদের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। বেশি বিক্রিতে লাভের আশা দেখছেন তারা। তবে দিনের অন্য সময়ের তুলনায় বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিউমার্কেট এলাকার গ্লোব সুপার মার্কেটের সামনে কাপড় বিক্রি করেন রতন মিয়া। বিক্রি সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমরা কম টাকার কাপড় বিক্রি করি। যত বেশি বিক্রি করতে পারব লাভ তত বেশি হয়।’ আরেক বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শীতের প্রথমদিকে ব্যবসায় তেমন লাভ হয়নি। গত কিছু দিন ধরে অনেক ক্রেতা আসছে। দিনে ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করি। লাভও ভালো হচ্ছে। আরও কিছুদিন এমন শীত থাকলে মার্কেটে ক্রেতা আরও বাড়বে।’ দিনের শুরুতে তুলনামূলক বিক্রি কম হলেও বিকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে জানিয়ে রুহুল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘এখন কাস্টমার কম দেখতেছেন। বিকাল থেকে বাড়তে থাকবো। আমি একা দোকান চালাইতে হিমসিম খামু। আরেকজন একটু পরে আইবো। দুইজনে মিলে সামাল দিতে হইবো। বিক্রি বেশ ভালা হইতাছে।’ এদিকে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়েছে শৈত্যপ্রবাহ।