ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকা হাসপাতালে বাড়ছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী

ঢাকা হাসপাতালে বাড়ছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী

রাজধানীসহ সারা দেশ হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে। দুপুরেও সূর্যের দেখা মিলছে না। কমছে দিনের উত্তাপ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগের প্রকোপও বাড়ছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শীতে। রোগীর চাপে হাসপাতালগুলোতে পা ফেলারও জায়গা নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, গুরুতর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১৫-২০ শিশু নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত সোমবার শিশু হাসপাতালে সর্বমোট ১৩৪ জন ঠান্ডা কাশির রোগী এসেছে। এরমধ্যে নিউমোনিয়ার রোগী ছিল ৩২ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৩ নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১০০ জন রোগী ভর্তি আছে। এছাড়াও নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৩৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এদিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় অনেক শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন অভিভাবকরা। সকাল থেকেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের সামনে দীর্ঘ লাইন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গরম কাপড়ে মোড়ানো শিশুদের কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাবকরা। তিন মাস বয়সি ওমর ফারুককে নিয়ে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তার মা মিলি। এক মাস ধরেই তিনি তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ ঠান্ডা অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়ায় ছেলের গলায় কফ জমেছে। এরপর থেকে সে কিছুই খেতে পারছে না। এক মাসে সন্তানের চিকিৎসায় প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও সুস্থ হয়নি সে। মিলি আরও বলেন, এক মাসে তিনটি হাসপাতাল পরিবর্তন করেছি। ১৪ দিন ধরে শিশু হাসপাতালে আছি। এখনও সন্তানের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখছি না। শিশু হাসপাতালের ২৫ নম্বর বেডে ভর্তি আছে শিশু তাকরিম। ময়মনসিংহ থেকে এসে গত চারদিন ধরে সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মা অন্তরা। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, বাচ্চার হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। কয়েকদিনেই তার ওজন ৩ কেজি কমে গিয়েছে। কোনোভাবেই সে সুস্থ হচ্ছিল না। প্রতিবেশীদের পরামর্শে তাকে নিয়ে সরাসরি ঢাকায় চলে এসেছি। এখন আলহামদুলিল্লাহ সে সুস্থতার পথে। শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শীতকালে ঠান্ডা কাশি বাড়বে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাসপাতালে রোগীও কিছুটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত