রাজশাহীর নওহাটা বাজারে যানবাহনে চাঁদাবাজি হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ। গতকাল বুধবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার পথে তিনি অটোরিকশা, সিএনজি ও ভুটভুটিতে চাঁদা আদায় করতে দেখে গাড়ি দাঁড় করান। পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে চাঁদাবাজির বিষয়ে অবহিত হন। সেখান থেকেই সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান পবা থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেনকে ফোন করে দ্রুত এই চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দেন। এর পরপরই স্থানীয় থানা পুলিশ এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ গতকাল বুধবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মোহনপুর যাচ্ছিলেন। এসময় নওয়াটা ব্রিজের পাশে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভুটভুটি থেকে চাঁদা তুলতে দেখেন। আসাদুজ্জামান সেখানে নেমে এলে স্থানীয়রা চাঁদাবাজি নিয়ে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এখানে জোর করে টাকা আদায় করে আসছে। স্থানীয় এক অটোচালক বলেন ‘টাকা না দিলে তারা ঘাড়ায় (মারধর করে)’। তারা এজন্য সংসদ সদস্যের সহযোগিতা চায়। এর পরই সংসদ সদস্য স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করে এগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে রাজশাহীর পবা থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালে এমপি স্যার ফোন করেছিলেন। আসলে এটি চাঁদাবাজির মতো ঘটনা নয়। তারা লাইন ধরে সিরিয়ালের জন্য নিজেরাই লোক রেখেছে। প্রত্যেককে ১০ টাকা করে দিতে হয়। তারপরও যেহেতু এমপি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন রাস্তায় কাউকে টাকা তুলতে দেওয়া হবে না। আমি নিষেধ করে দিয়েছি। আর কেউ টাকা নিবে না। এ বিষয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেখানে দেখি টাকা তোলা হচ্ছে। আমি অটো ও সিএনজি চালকদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে এটি জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমার এলাকাতে কোন চাঁদাবাজি হবে না। তাই আমি সেটি নিষেধ করেছি। পাশাপাশি ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। আশা করছি চালকদের আর কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। আমি নিজে নিয়ম মেনে চলতে পছন্দ করি। আমি চাই আমার এলাকায় নিয়মের বাইরে কিছু হবে না। আগে কে কী করেছে সেসব ভুলে এখন সবাই নিয়ম মেনে চলবে এটিই আমার প্রত্যাশা।