নটর ডেম কলেজ হচ্ছে সেন্টার অব এক্সিলেন্স : ঢাবি উপাচার্য
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, নটর ডেম কলেজ হচ্ছে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’। কারণ এখানে যারা পড়ালেখা করেছেন তারা প্রত্যেকেই দেশের কোনো না কোনো অঙ্গনে অবদান রেখেছেন। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে চারপাশের মানুষজনকে আলোকিত করেছেন। একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। গতকাল নটর ডেম কলেজের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাবি উপাচার্য বলেন, নটর ডেম কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
আমার বড় ভাই এবং আমার ছেলেও এই কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে নটর ডেম কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জেনেছি। পাশাপাশি আমার নিজেরও অনেকগুলো কারণে প্রায়শই এ কলেজে আসা হয়েছে। আর আমি যতবার এখানে এসেছি ততবারই মনে হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় এসেছি। আর আমি এলেই এখানকার প্রিন্সিপাল মহোদয়কে বলতাম, আমি এখানে গরম কফি, খিচুড়ি এবং বন খাব। অনেক সময় আমি অনেক সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি। উপাচার্য আরো বলেন, ছোট একটি জায়গা থেকে ক্রমেই বিস্তৃত হয়েছে নটর ডেম কলেজ। আজ ৭৫তম বর্ষে দাঁড়িয়ে আমরা সহজেই বুঝতে পারছি এই কলেজ সমাজে এবং রাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো খুব ভালোভাবে শুরু হয়েও শেষ পর্যন্ত এই ধারা বজায় রাখতে পারেনি। কিন্তু নটর ডেম কলেজ অব্যাহতভাবে তার প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ও প্রভাব সমাজে টিকিয়ে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমরা একজন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীকে পাই, তখন মনে করি, এই শিক্ষার্থী একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ থেকে এসেছেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, সিএসসি, ঢাকা আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ ও নটর ডেম কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আর্চবিশপ বেজয় এন. ডিক্রুজ, ওএমআই, নটর ডেম কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আনিস আহমেদ এবং সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। নটর ডেম কলেজের তিন দিনব্যাপী ‘৭৫ বছর পূর্তি উৎসব’ শুরু হয়েছে গতকাল বিকাল ৩টায়। প্রথম দিনের আয়োজন ছিল কলেজের সদ্য এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থী এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য। আর আজ দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।