প্রতিটি দোকানেই থাকে ক্রেতাদের ভিড়। শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হরেক রকমের পিঠা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়ার পাশাপাশি কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন পরিবার ও স্বজনদের জন্য। রাস্তার ফুটপাত ছাড়াও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে পিঠা। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পিঠার দোকানের সংখ্যা। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট, কাজীপাড়া ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া- মহল্লার রাস্তার মোড়ে এসব পিঠা বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা ফুটপাতে মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কেরোসিনের চুলা বসিয়ে পিঠা তৈরি করছেন। এসব দোকানে শীতে চিতই ও ভাপা পিঠারই বিক্রি বেশি। ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী খেজুরের গুড়, চালের গুঁড়া, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে পিঠা তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও চিতই পিঠার সঙ্গে ক্রেতাদের সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভাঁপা পিঠা ১০-২০ টাকা ও চিতই পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার পিঠা বিক্রেতা মো. হামিদ জানান, প্রতিদিন তিনি গড়ে ৪ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার লাভ হয় ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। চিতই পিঠার সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষা ও শুঁটকির ভর্তা দেন। হামিদ জানান, শীতকালে পিঠা বিক্রি করি। অন্য সময় ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করি। এছাড়াও মাঝেমধ্যে চালাই রিকশা। যখন যেই কাজ পাই বা ব্যবসার সুযোগ পাই সেটাই করার চেষ্টা করি। কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার পিঠা বিক্রেতা রিনা আক্তার। ২৫ বছর আগে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা এসেছিলেন। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে তার সংসার। স্বামী অসুস্থ থাকায়। রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রি করছেন রিনা। রিনা বলেন, সারা বছর পিঠা বিক্রি করি না শুধু শীতকাল এলেই পিঠা বিক্রি করি। অন্য সময় যে কাজ পাই সেটাই করার চেষ্টা করি। মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করি বা কখনো আমি শাকসবজি বিক্রি করি।