দরিদ্র ও অসহায় গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন যত্ন, শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের লক্ষ্যে সরকার মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর এলাকার কম আয়ের কর্মজীবী মায়েদের ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির সমন্বিত ও উন্নত সংস্করণ হলো ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’। গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৩) মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় রংপুর জেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪০১ জন গর্ভবতী মা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। সারাদেশে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৮৪ লক্ষ্য গর্ভবতী মা এই কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি একজন মা তার প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের জন্য এই কর্মসূচির আওতায় ৩ বছরের জন্য মাসিক ৮০০ টাকা হারে অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন। এই আর্থিক সহায়তা সরাসরি উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংক বা নিজ নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হয়। ৪ থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী মায়েরা এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাক্তার মো: সাইদুর রহমান জানান এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে থাকেন। আমরা রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন যত্ন, শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের লক্ষ্যে সরকারের মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালুতে সহযোগিতা করে থাকি। উল্লেখ্য, নিবন্ধিত মায়ের অসময়ে গর্ভপাত হলেও তিনি স্বাস্থ্য ঝুঁকি কাটিয়ে উঠার জন্য ৬ মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচির সুবিধা পাবেন।