ইটভাটা, আটো রাইস মিলস ও রোলিং স্টিল মিলসসহ সব কল-কারখানায় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত রোধে কার্বন পিউরিফিকেশন টেকনোলজি (সিপিটি) স্থাপন করে বায়ু দূষণের মাত্রা কমানোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সভায় এ দাবি জানান তারা।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বায়ু দূষণের কারণে বছরে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্র একদম নির্বিকার। নাগরিকদের প্রতি উদাসীনতা বর্তমান রাষ্ট্রের একটা চরিত্র। রাষ্ট্র একদিকে বলছে টেকসই উন্নয়নের কথা, অন্যদিকে বায়ুর মানের ব্যাপারে তারা আপস করছে। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির নেতারা বলেন, আমাদের দেশে বায়ু ও পরিবেশ নিয়ে প্রায় ২০০টির মতো আইন আছে। কিন্তু এগুলোর প্রয়োগ নেই। দূষণ কমানোর জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। গত ২০ বছরে বায়ুদূষণ নিয়ে যত মামলা হয়েছে, সেখানে একজনের মাত্র সাজা হয়েছে। মামলা যেগুলো হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর চলছে, বিচারক নেই। এই মামলাতে লোকজন ভয় পাচ্ছে না। সরকার তার দায় এড়াচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আমরা অনেক পেছনে আছি। দেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান এবং আগামী দিনের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। আমরা তা নিজেদের জন্য তো করতে পারছিই না বরং আগামী দিনের নাগরিকদের জন্যও পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছি। অনেক শিশু যারা আমাদের আগামী দিনের নাগরিক, তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছে বায়ুদূষণের কারণে। বক্তারা আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বায়ুদূষণ রোধে দেশব্যাপী ন্যূনতম ৫০০টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা উচিত। আমরা আশা করব, মন্ত্রী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন, এগুলোকে বাস্তবায়ন করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। নাগরিক সভায় পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।