গত ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘প্রসূতির পেট ছিল কাটা, মা-সন্তান দু’জনই মৃত’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তার (১৯) নামের নারীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রুত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। মেঘলা আক্তার বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী। ভুক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১৫ জানুয়ারি বিকালে প্রসব ব্যথায় কাতর মেঘলাকে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সবুজ কুমার দাসসহ ৫-৬ জন মিলে তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেঘলাকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।