রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ কামারুজ্জামান ভবনের একাংশ ধস ও শ্রমিক হতাহতে ক্ষয়ক্ষতির দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সাত বাম ছাত্রসংগঠন। গতকাল বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ এক বিবৃতি এসব কথা বলেন তারা। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ছাত্র সংগঠনগুলো হলো- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নাগরিক ছাত্রঐক্য, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ছাত্র গণমঞ্চ। যৌথ এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সকল ক্ষয়ক্ষতির দায় নিশ্চিতভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে মৃত এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করে প্রদান করতে হবে।
ভবন ধস ও ধারাবাহিক ছাত্র-শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় খুনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন’ এর নামে মামলা এবং শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। ভবনটির নির্মিত কাঠামোর স্থায়িত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে নতুন ঠিকাদার দ্বারা ভবনের কাজসম্পন্ন করার দাবি জানান তারা। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভবন ধস ও শ্রমিক হতাহতের এই ঘটনা কোনো অপ্রত্যাশিত কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় নয়। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর একই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক ইউনুস আলী, ২০২২ সালের ৩১ মে আরেক নির্মাণাধীন ২০ তলা একাডেমিক ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক সাগর এবং ২ ফেব্রুয়ারি ভবনগুলোর নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী হিমেল হত্যাকাণ্ডের মতো ধারাবাহিক ঘটনা ভবিষ্যতে আরো বড় ক্ষয়ক্ষতির আভাসই দিয়ে আসছিল। অথচ লাগাতার হত্যাকাণ্ডের পরেও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বে অবহেলা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভবনগুলোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন’ এর বেপরোয়া দুর্নীতি, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি ‘হত্যা কাঠামো’ সৃষ্টি হয়েছে। যা দ্বারা যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারে। নির্মাণাধীন ভবনের কাঠামোটি নিরাপদ নয়। উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভবনটির ধসে পড়া অংশে একটি পিলার হেলে গিয়েছে।