শাবিতে পার্কিং সংকটে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বাস
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা না থাকায় গ্যারেজের বাইরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পরিবহনের যানবাহন। এ ছাড়া শীতে কুয়াশায় সারারাত বাইরে থেকে মরিচা ধরেছে অনেক বাসে। ফলে অযত্নে-অবহেলায় দিন দিন নষ্ট হচ্ছে এসব বাস। সরেজমিন দেখা যায়, ক্যাম্পাসে বাস পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত খালি জায়গা না থাকায় বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয় বাস। ফুডকোর্টের সামনে, গোল চত্বরের পাশে, প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে, গ্যারেজের সামনের জায়গাসহ বিভিন্ন জায়গায় পার্কিং করে রাখা হয় উপ-উপাচার্যের গাড়ি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া বাসসহ বিভিন্ন পরিবহন। প্রচণ্ড রোদে কিংবা ভারি বৃষ্টিতেও সেখান থেকে সরানো হয় না এসব বাস। ফলে বাসের ইঞ্জিন, বডিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এদিকে, গ্যারেজে জায়গা সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অ্যাম্বুলেন্সও সার্বক্ষণিক রাখা হয় খোলা আকাশের নিচে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের কোনো সমস্যা হলে অ্যাম্বুলেন্স দুটিই একমাত্র ভরসা। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বাস রয়েছে প্রায় তিনগুণ। নতুন নির্মিত একটিসহ মোট দুটি গ্যারেজে বড় বাসের ধারণক্ষমতা ১৪টি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট যানবাহনের সংখ্যা ৩৮টি।
এদিকে, নতুন নির্মিত গ্যারেজের পরিচর্যা না থাকা এবং তার সামনের জায়গা আগাছায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বাস পার্কিং করার সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই গ্যারেজে বাস পার্কিং করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১৩টি বাস বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বাস অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাকি বাস শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। বাইরে থাকায় কার্যক্ষমতা কমছে বাসের। প্রায়ই রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হচ্ছে এসব বাস। একই সময়ে কেনা বাসগুলোর মধ্যে যে বাসগুলো গ্যারেজে রাখা হচ্ছে সেগুলো দীর্ঘদিন পরও ভালো আছে কিন্তু যেগুলো বাইরে রাখা হচ্ছে সেগুলো জং ধরে প্রায় পুরোনো হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব কোনো একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়ে গ্যারেজের আশপাশে কোনো শেড করে বাসগুলো সেখানে রাখা যায় কি না। এ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন অনেক গাড়ি আমাদের পরিবহন পুলে যুক্ত হয়েছে।