ক্যান্সার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি
দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। তামাকের ধোঁয়ায় প্রায় সাত হাজার রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।
যার মধ্যে ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এবং এগুলো ফুসফুস, শ্বাসতন্ত্র এবং মুখের ক্যান্সারসহ অন্তত ১২ ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টি করে থাকে। এমনকি পরোক্ষ ধূমপানেও ক্যান্সার হতে পারে। এ অবস্থায় কেবল তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তামাক ব্যবহারজনিত ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এর হিসাব অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালেই বিশ্বে দুই কোটি নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৯৭ লাখ মানুষ মারা গেছে। যার মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ধূমপানকে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটির মতে, তামাক ব্যবহার পরিহারসহ অন্যান্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্যান্সারে মৃত্যু ঝুঁকি ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব। আইএআরসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২২ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮। তামাক ব্যবহারের উচ্চ প্রবণতা এই মৃত্যু পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে, ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ (৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৮১ লাখ মানুষ। গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় আড়াই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। এ বিষয়ে বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে। এটি যত বিলম্বিত হবে ক্যান্সারসহ তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে।