রাবিতে জন্ডিসের প্রকোপ

দুই সপ্তাহে আক্রান্ত ৯৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৭টি আবাসিক হলের টিউবওয়েলে ও ট্যাপকলের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। বিকল্প হিসেবে আবাসিক হলগুলোতে সাবমারসিবল পাম্প থাকলেও পানি সরবরাহ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকায় নিয়মিত নিরাপদ পানি পান করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানিবাহিত রোগ তথা হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (জন্ডিস) রোগীর সংখ্যা।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন এবং একই পানি দিয়ে একাধিক প্লেট পরিস্কার, একটি গ্লাস দিয়ে অনেকেই পানি পান করায় ছড়াচ্ছে এসব রোগ। এছাড়াও হোটেলগুলোর রান্নাবান্নার কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ট্যাপকল বা টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে রান্নার কাজ করছেন দোকানিরা এবং একই পানি পান করাচ্ছেন শিক্ষার্থীদেরকেও। ফলে জন্ডিসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. লোমান মঞ্জুর (অপু) তথ্য মতে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলেছে পানিবাহিত রোগ জন্ডিস তথা হেপাটাইটিস এ ভাইরাস রোগের প্রকোপ। গত ১৫ দিনে ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮ জন শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দূষিত পানি ও ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৭টি আবাসিক হলে বিশুদ্ধ পানি খেতে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউবওয়েল রয়েছে প্রায় ১১২টি। যার অধিকাংশ টিউবওয়েল মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। যেসব টিউবওয়েল সচল তাতেও বিশুদ্ধ পানির দেখা মিলছে না। সেখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ এবং ময়লা। এদিকে শিক্ষার্থীদের রান্না বা গোসলের জন্য রয়েছে ট্যাপকল। এতেও রয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত ও লালচে কালার পানি। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলেই বিশুদ্ধ পানির জন্য রয়েছে সাবমারসিবল পাম্প। কিন্তু দিনে তিনবার নিদিষ্ট সময় তথা ২০-২৫ মিনিটের জন্য চালু করা হয় এসব সাবমারসিবল পাম্প। ফলে এসময় যারা হলে থাকেন, তারাই শুধু নিরাপদ পানি সংরক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা, টিউশন ও ক্যাম্পাসে থাকায় সাবমারসিবলের পানি সরবরাহ করতে পারেন না। ফলে হলে এসে টিউবওয়েলের পানি সরবরাহ করেই খেতে হয় তাদের।