গত বছরে ২৭ হাজার ৬২৪ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০২
ফায়ার সার্ভিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দিনে গড়ে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
গত শনিবার ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান। সারা দেশে এসব অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হন। এদিকে আগুন নির্বাপণের সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নি নির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন কর্মী নিহত হন। কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬ শতাংশ), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪ শতাংশ), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯ শতাংশ), অন্যান্য ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫ শতাংশ) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি-আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বাসাবাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট-বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদামণ্ডপাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহন ৫০৬টি, নৌযানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।