করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। এর ফলে বিয়ে নিবন্ধন-সংক্রান্ত বিষয়াবলি যেমন শৃঙ্খলিত ও তথ্য সমৃদ্ধ হবে, তেমনি ভবিষ্যতে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারে বিশেষত বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সরবরাহ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সহায়ক হবে। একই সাথে বাড়বে সংস্থার রাজস্ব আদায়।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৮২ নম্বর ধারার ৪র্থ তপশিলের ৮ নম্বর ক্রমিকে অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং আদর্শ কর তপশিল ২০১৬ এর ১০(৪) এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত হারে এই কর আদায় করা হবে। এ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ সবার কাছে অপ্রত্যাশিত একটি বিষয়। কিন্তু তারপরও বাস্তবতার নিরিখে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে। বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত তথ্যাদি করপোরেশনে আসলেও বিবাহ নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক। এছাড়া বিবাহ-সংক্রান্ত তথ্য থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় বিজ্ঞ আদালত ও বিভিন্ন সংস্থা হতে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়।
ফলে, আমাদের এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামষ্টিকভাবে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে। শৃঙ্খলা আনয়নে এই কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ঢাদসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘অনেক সময় কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশান নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। তাছাড়া বিদেশগামী যাত্রীদের ও বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিবাহ নিবন্ধন-সংক্রান্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ রকম বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধন-সংক্রান্ত তথ্যাদির গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া অনেক সময় বিদেশি দূতাবাসসমূহের বিবাহ-সংক্রান্ত তথ্যাদির প্রয়োজন হয়। তাই, বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম লিপিবদ্ধ থাকলে তারাও সিটি করপোরেশনের নিকট হতে এ তথ্য পেতে পারে। সুতরাং, শৃঙ্খলা আনয়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।