বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে সেফ ফুড কার্নিভাল। তিন দিনব্যাপী এ মেলার শেষ দিনে বসেছে নিরাপদ পিঠার হাট। গতকাল শনিবার সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফুলঝুড়ি, দুধপুলি, সেমাই পিঠা, বিবিখানা, নারিকেল পুলি, ক্ষীর সেমাই, চিকেন বিং, ঝাল চিংড়ি পিঠা, শাহী ভাঁপা, ডিম সুন্দরী, ডাল সুন্দরী, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, ডিমের পানতোয়া, ধুপাই, নকশী, জামাই, গোলাপ, মাংস পুলি, চুই পিঠা, মালাই পিঠা, নোনতা ভাঁপা পিঠা, চুষি পিঠাসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা। ৪০ প্রকারের পিঠা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেছেন অর্ধ শতাধিক উদ্যোক্তা।
আয়োজকরা বলছেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠাণ্ডপুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই।
পিঠাণ্ডপায়েস সাধারণত শীতকালের রসনা জাতীয় খাবার হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসেবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠাপুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠাণ্ডপায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে। সেফ ফুড কার্নিভাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বিএফএসএ সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। যথাযথ খাদ্যের নিরাপত্তা মেনে এ ঐতিহ্যকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই মূলত আমাদের এ আয়োজন।