রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবিতে চট্টগ্রামে রিকশা মিছিল

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, সরকার চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছে। খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে। কিন্তু দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে তার কোনো প্রভাব নেই। কমার পরিবর্তে উল্টো ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকার কাছাকাছি, পেঁয়াজের দামও আগের মতোই অস্থির। কিন্তু মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার কাঙ্ক্ষিত নাগালের মধ্যেই আসছে না।

ভরা মৌসুমের মধ্যে একদিকে চালের ঊর্ধ্বমূল্য, অন্যদিকে শীতকালীন শাক-সবজির ভালো উৎপাদনের মধ্যে এসবের মূল্য সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে মজুত ও অতিমুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন। ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ, আলু, আদা-মসলা, স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকশা মিছিল ও মানব বন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। রমজান মাসে মৌসুমী ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অংক বাড়ে। কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট, আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু, পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানা চক্রান্ত চলছে। তাই এখন সময় এসেছে জনগণকে সংগঠিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।