ঢামেকে দুই কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যায় হত্যা মামলার আসামি বন্দি হাজতি মো. সামসাদ আলী গুল্লার (৩২)। অন্যদিকে সোমবার দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মানবপাচার মামলার আসামি বন্দি হাজতি প্রিসন সাংমা (৩০)। এর আগে সামসাদ আলী গুল্লারকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে প্রিসন সাংমাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত রোববার ঢামেকের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত সামসাদ আলী গুল্লার রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি সেলুন কর্মচারী। সামসাদ পল্লবী থানার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তার বাবার নাম মো. শওকত আলি। মৃত প্রিসন সাংমা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকা কোড়া গ্রামের কৃষক জনসন মারাকের ছেলে। সে উত্তরা পশ্চিম থানার মানবপাচার মামলায় বন্দি ছিল।