প্রথম ঢাকার মঞ্চে প্রথমবার একসাথে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের পাঁচজন সংসদ সদস্য। গত সোমবার হাওরবেষ্টিত এলাকা সুনামগঞ্জের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রস্তাবিত ‘হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াস গ্রুপ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদারের পরিকল্পনায় ও উদ্যোগে এবং মাদিহা মার্সিহা অ্যাডভারটাইজিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও অভি মঈনুদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। রাজধানীর রিজেন্সী হোটেলে দুপুরের এই আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রয়াস গ্রুপের পরিচালক রূপক তালুকদার। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত সংসদ সদস্যরা হলেন আলহাজ এমএ মান্নান, এমপি, সুনামগঞ্জ-৩ (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী) ড. জয়া সেনগুপ্তা, এমপি, সুনামগঞ্জ-২ মুহিবুর রহমান মানিক, এমপি, সুনামগঞ্জ-৫ (সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি), ড. মোহাম্মদ সাদিক, এমপি, সুনামগঞ্জ-৪ (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি) ও অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার, এমপি, সুনামগঞ্জ-১ (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন। অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আবু নাঈম শেখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শান্তা জাহান। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য বৃন্দদের ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান অনুষ্ঠান সভাপতি। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের অনেক বড় অর্জন বা প্রাপ্তি একইমঞ্চে সুনামগঞ্জের সকল সংসদ সদস্য, মাননীয় মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ভাইস চ্যান্সেলর মহোদেয়ের উপস্থিতি। আমি ভাবতেও পারিনি যে প্রত্যেকেই আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একইমঞ্চে তারা একত্রিত হবেন। আমাদের আয়োজনের হয়তো ভুল ত্রুটি ছিল। কিন্তু আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। আমি প্রত্যেকের কাছেই ভীষণভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আলমিনা নীতু।