রংপুরের মিঠাপুকুরে নর্থ বেঙ্গল জুট মিল

মালিকানার জটিলতায় কর্মহীন কয়েকশ’ শ্রমিক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর হাটে প্রতিষ্ঠিত নর্থ বেঙ্গল জুট মিলে মালিকানার জটিলতায় রপ্তানিমুখী এই শিল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এর রেশ ধরে কয়েক শত শ্রমিক বর্তমানে কর্মহীন পড়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় মিলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এই বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানিয়ে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন মিলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবার রহমান। তিনি এ সময় জানান, নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠিতা চেয়ারম্যান রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী এবং মিলের পরিচালক বলরাম সাহা মিলটি পরিচালনা কালীন বিপুল পরিমাণ অর্থ দেনার দায়ে এটি রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সারের ২৫ মে আগস্ট সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী তাদের ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার আমাদের কাছে হস্তান্তর করায় বর্তমানে নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান খালেদা পারভীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমি মাহবুবার রহমান এবং পরিচালক মাহফিজার রহমান। ওই দিনই সাবেক চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা অব্যহতি নেন। এরপর ৩ মাস চেষ্টা চালিযে মিলটিকে চালু করে এটিকে একটি সফল রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলি। বর্তমানে মিলটি দৃষ্টি কাড়া সাফল্য অর্জন করায় সাবেক মালিকরা বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহ বহুমুখী ষড়যন্ত্র করে নিজেদের মালিকানায় নিতে নানাভাবে হয়রানি করছে। চুক্তি অনুযায়ী আমি জনতা ব্যাংক রংপুর কর্পোরেট শাখায় ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে সুদ মওকুফের আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মোট দাবিকৃত পাওনা থেকে ৭ কোটি ৯ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকা মওকুফ করে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮১ টাকা পরিশোধের সীমা নির্ধারন করে দেন। এ ব্যাপারে নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস এর সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাহবুবার রহমান আমাদের সাথে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় তিনি এখন মালিক নন। চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে তাকে লিগ্যার নোটিশ দেয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংকের অ্যাসিটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার ও রংপুর কর্পোরেট শাখার ম্যানেজার শামীম আহমেদ জানান, সাবেক মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট দায় ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮১ টাকা থেকে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮১ পরিশোধ করার জন্য ১০ জানুয়ারি ২০২৪ সময় নির্ধারণ করা হয়।