দাদার মৃত্যুশোক সইতে না পেরে রাজধানীর লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে মোছা. সুমা আক্তার নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সুমা আক্তার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে তারা লালবাগের নবাবগঞ্জ এলাকার ডুরি আঙ্গুলী লেনে ভাড়াবাসায় থাকতো। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুমার চাচা মো. রুমন বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে বুধরাত ১০টা দিকে আমরা বাবার মারা যান। বাবা আমার সুমাকে (ভাতিজি) অত্যন্ত ভালোবাসতেন। ভাতিজিও বাবাকে খুব ভালবাসতো। মৃত্যুর পর বাবার মরদেহ গোসলের জন্য পাশে একটা জায়গা নিয়ে যায়, ওই সময় আমার ভাতিজি ওয়াশরুমের কথা বলে দোতলার রুমে চলে যায়। পরে আমরা তাকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে পরে ওপরে গিয়ে দেখি রুমের দরজা বন্ধ। এরপর রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।