শিক্ষিত তরুণদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষিত তরুণরা রাজনীতিতে না এলে অযোগ্যরা সমাজের নেতৃত্ব দেবে। গতকাল তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব’ শীর্ষক এক পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা এবং তাদের কাজের মূল্যায়নের ওপর জোর দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের খারাপ বলা উচিত নয়, তেমনি অনেক জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ভালো কাজ করছেন তাদের সে ভালো কাজের মূল্যায়নও সমাজে প্রয়োজন। শিক্ষিত তরুণ সমাজের রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তা না হলে অযোগ্য লোক সমাজকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণত দুর্নীতি বলতে আমরা আর্থিক দুর্নীতিটাকেই বেশি বুঝে থাকি, কিন্তু নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করাও অনেক বড় দুর্নীতি। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে গেলে স্মার্ট জনপ্রতিনিধি এবং স্মার্ট জনগণ দুটোই লাগবে। জনপ্রতিনিধি ও জনগণ তাদের নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব। মন্ত্রী উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আইন দ্বারা এই দুই ব্যবস্থার কাজের পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা রয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে স্থানীয় সরকার তাদের নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করছে কি না, তাদের রাজস্ব আয়ের নানা ধরনের উপায় সৃষ্টি করতে পারছে কি না এবং স্থানীয় মানুষকে তাদের সমস্যার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারছে কি না। স্থানীয় সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার সবাই মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো সমস্যা নেই। দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। তবে এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষ তৈরি হতে পারে।