খালের অংশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

বাদ যায়নি ১০ তলা ভবনও

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

খাল পরিষ্কারে অংশ নেওয়ার পরই এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে খালের অংশ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই বছিলার লাউতলা খালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি একটি ১০ তলা ভবনের অর্ধেক অবৈধভাবে গড়ে তোলায় এটিও ভাঙার কাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার বছিলার ৪০ ফিট নামক স্থানে খালের অংশের স্থাপনাগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে অংশ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। এর আগে বছিলার লাউতলা খালে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে খালে নামেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা খালে ময়লা ফেলে তাদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে, তাদের মনে ময়লা আছে বলেই তারা এভাবে খালে ময়লা ফেলতে পারে। সিটি কর্পোরেশনের খালের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। তারা যতই ক্ষমতাধর হোক না, কে খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা উচ্ছেদ করবই। বছিলার পুলিশ লাইন মাঠে বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের স্বেচ্ছাসেবীদের শপথ বাধ্য পাঠ করান ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। শপথ বাক্যের একাংশে তারা বলেন, কোথাও যত্রতত্র ময়লা ফেলব না। অন্যরা যেন ময়লা না ফেলে সে বিষয়ে সচেতন করব। এদিকে খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তা ঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।