দরিদ্র্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সমাজকল্যাণ
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, দরিদ্র্য যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ইমদাদণ্ডসিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছেন, যে কারণে ক্রমাগত ঝরে পড়ার হার কমে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি, তাতে ঝরেপড়া একদমই কমে যাচ্ছে। মন্ত্রী নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, আমি সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সংগে কথা বলেছি, প্রতিদিন ৫০০ জনের সঙ্গে জুম মিটিং করেছি টানা ৪২ দিন এবং তখন প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি কথাই আমি শুনেছি, যেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, সেই শ্রেণি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ এবং তাদের ঘরে রাখা যাচ্ছে না, তারা শ্রেণি কক্ষে ছুটে আসছে, সেখানে পড়ছে ও ভালো করছে, আনন্দের সঙ্গে শিখছে। আমরা এই ঝরেপড়ার একেবারে দূর করে দিতে পারব। কিন্তু পরিবারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পরিবার আমরা এখনও দরিদ্র আছে। আমরা দরিদ্রকে শূন্যের কোটায় আনতে পারিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশাল রকমভাবে দরিদ্রকে কমিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু আরো বহুদূর আমাদের পথ পাড়ি দিতে হবে, সেটাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে যেতে। কিন্তু ততদিন এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে।
মেধাবী শিক্ষার্থী যারা আছে যাদের উচ্চ শিক্ষার পথে দরিদ্র হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই শিক্ষার্থীদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। তার যেন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যে সক্ষমতা আছে, যার যা মেধা আছে, সে অনুযায়ী তারা যেন পারে। মন্ত্রী শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরিতে বর্তমান সরকারের অবস্থান উল্লেখ করে বলেন, যতবার আওয়ামী লীগ তার ইশতেহার দিয়েছে, ততবার শিক্ষার ক্ষেত্রে এ কথাটি থাকে, ‘দরিদ্র যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়’,। অর্থাৎ সেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। রাষ্ট্র সবসময় পুরোটা করতে পারে না, সেখানে বেসরকারি পর্যায় থেকে, সাধারণ মানুষের পর্যায় থেকে যাদের সক্ষমতা আছে, তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনহিতকর কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, এ মন্ত্রণালয় থেকে নানা ধরনের ভাতা দেয়া হচ্ছে। আমি কিডনি ডায়ালাইসিস সুবিধা সহজলভ্য করার জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি, সে লক্ষ্যে রিসোর্স ম্যাপিং চলছে, বয়স্কদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনেও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত রোগী ও এটেন্ডডেন্টদের থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপনের জন্য ও আমরা কাজ করছি। এরপর মন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীরা হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।