বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার সকালে ধানমন্ডি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬তলা নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ তথ্য জানান। ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে তিনি স্মার্ট পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।
আমাদের স্মার্ট বিদ্যালয়ে হবে, স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে এবং স্মার্ট নাগরিক হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা কলাবাগান, মতিঝিলের দিলকুশা, নবাব কাটরা ও শ্যামপুরে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন পাবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪-৫ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এ সময় বায়ু দূষণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বাংলাদেশে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমরা ব্যবহার করি সেটি অত্যন্ত নিম্নমানের এবং আমাদের দেশে বায়ুদূষণের মূল কারণই হলো নিকৃষ্ট মানের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। ঢাকা শহরে যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটিতে সালফারের যে মাত্রা তা আন্তর্জাতিক মানদ-ের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। আমরা দেখেছি, ইউরোপের জীবাশ্ম জ্বালানিতে সালফারের পরিমাণ থাকে ১৫ পিপিএম এর নিচে। সেখানে আমাদের দেশে তা ৫০ পিপিএম ঊর্ধ্বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৫০০ পিপিএম ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
সেগুলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। সে লক্ষ্যে আমরা আমরা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পেট্রো বাংলা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা পেট্রোলিয়াম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা চিঠি দেবো। তারা যেন এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। আমরা চাই না, ঢাকা শহরে এ ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি আর ব্যবহৃত হোক। আমরা চাই, ঢাকা শহরে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানিতে সালফারের পরিমাণ ৫০ পিপিএম এর নিচে থাকবে। তাহলেই বায়ুদূষণের মূল যে কারণ তা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো। আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠবে পারবে। ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রেখেছে উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য সূচি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।