তামাকমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
তামাকমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের বাঁচাতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট ও স্মোকিং জোনও বন্ধ করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আহ্ছানিয়া মিশন অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি বলেন, তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। স্মোকিং জোনের মাধ্যমেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে মানুষ। এর ফলে দেশে বছরে মারা যাচ্ছে ১,৬১,০০০ মানুষ। আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট ও স্মোকিং জোন বন্ধ করতে হবে। তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সংসদে পাশ করার ক্ষেত্রে দৃঢ় ভূমিকা রাখার কথা ব্যক্ত করেন। স্বাগত বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাস হলে দেশে আইনটি এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন তরাণিত্ব হবে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মাহিন মালিক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানির পায়তারা করছে। তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও জানান তারা। তামাক কোম্পানী এই অপতৎপরতা রুখতে হবে। তরুদের বাঁচাতে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আ ফ ম গোলাম শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রবিন, বাংলাদেশ সুপারমার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ই-ক্যাবের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম শোভন, জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।