পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নিজের দায়িত্ব পালন না করে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির অভ্যাস। গতকাল রাজধানী লালমাটিয়া মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় বেইলি রোডের ঘটনার পর সব প্রতিষ্ঠানের অগ্নী নির্বাপক ব্যবস্থার রাখায় তাগিদ দেন সরকারের এই মন্ত্রী।
‘দেশে আইনের শাসন নেই, তাই বেইলি রোডের আগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সরকারের মন্ত্রী নানক বলেন, আসলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, সব কিছুর বিরোধিতা করা। নিজের দায়িত্ব পালন না করে, সরকারের সমালোচনা ও বিরোধিতা করা। এটি তাদের একটি অভ্যাস।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উল্টো বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী নানক বলেন, দেখেন এত বড় একটি আগুন হলো। তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। করে নি। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়নি। বিএনপি এখন পর্যন্ত যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, সেখানে বিএনপির কেউ যাননি। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি বিএনপি কোনো সহানুভূতিও জানায়নি। আসলে বিএনপি একটি সূত্র বের করে আর সেই সূত্র উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তারা তাদের সমস্ত দায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়। এরা আসলে দায়িত্বহীন একটি রাজনৈতিক দল। তাই বিএনপি কি বলছে, তাতে মানুষের আর দৃষ্টি নেই। বিএনপি থেকে দেশের মানুষ দলটির সন্ত্রাসের জন্য দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তাদের মানুষ হত্যার রাজনীতির জন্য মানুষ আসলে তাদের কাছ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। কাজের তাদের নিয়ে খুব বেশি বলার আছে বলে আমি মনে করি না। বেইলি রোডের আগ্নিকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর আসল ঘটনা কি বের হবে? তবে আমি বলব, যারা ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট মালিক থেকে শুরু করে যারা সেখানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করছে, এবং যাদের নিয়মনীতি পালনে বাধ্য করার কথা, তারা সবাই সতর্ক হবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ আগুনটি লাগার পর থেকে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডটি। যেখানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো সেভাবে রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। সে রেস্টুরেন্টগুলোতে আগুন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই। কাজেই আমি বলেছি, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নড়েচড়ে বসা দরকার। আর একটি মানুষকেও যাতে আর এভাবে আগুনে পুড়ে মরতে না হয়। এ সময় সংশ্লিষ্টদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু মুনাফাই করবেন, মানুষের জীবনকে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে, এটা মেনে নেয়া যেতে পারে না। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সব প্রতিষ্ঠানের নিতে হবে। নিতে বাধ্য করতে হবে।নতুন প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা সবাই খুবই যোগ্য। তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।