নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ওপর ‘কবিতা’ আমরা প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারি। এটা হবে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। গতকাল ঢাকায় বাংলা একাডেমিস্থ ভাষা শহীদ মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ কাজটি হাতে নিয়েছে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ। বাংলা একাডেমির ভাষাশহীদ মুক্তমঞ্চ থেকে সেটি ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ছড়িয়ে যাবে-আশা করি। এটাই সময়। কারণ আমাদের সংগ্রাম ছিল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, স্বৈরাচার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় জাতীয় কবিতা পরিষদ সংগ্রাম শুরু করেছিল। কবিতা পাঠ করতে করতে, আবৃতি করতে করতে আমরা সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, যখন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন হয়, তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। কাজী নজরুল ইসলামকে পেয়েছি বিদ্রোহী ভূমিকায় এবং বিভিন্নভাবে তাকে পেয়েছি। আমাদের সংগ্রাম ছিল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেখানেও আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফল হয়েছি। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যেভাবে নির্বাসিত করা হয়েছিল, যেভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে সমাজের মধ্যে সাজিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যেভাবে আমাদের ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, কবিতা সেখানে শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আজকে আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের দিকে তাকাই ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। সঠিকভাবে উচ্চারিত হয়েছে উন্নয়ন দৃশ্যমান। কিন্তু এখন আমাদের মানুষ কাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। সে উন্নয়নটায় কবিতা একটা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। মানব কাঠামোর যে উন্নয়ন এই উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ একটি জোরালো ভূমিকা রাখবে। আমাদের স্বপ্ন, ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’। সোনার বাংলা মানে কিন্তু আমরা কখনোই বলি না একটি ধনী দেশ, আমরা বলি সুখী দেশ হতে চাই। কবিতা নিশ্চয়ই সেখানে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ উৎসবের উদ্বোধন করেন।