ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বহুতল ভবনের রেস্টুরেন্ট ও রুফটপে অগ্নিঝুঁকি

নাসিক-ফায়ার সার্ভিসের অভিযান
বহুতল ভবনের রেস্টুরেন্ট ও রুফটপে অগ্নিঝুঁকি

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রেস্টুরেন্ট-রুফটপগুলোয় অভিযান চালায় নাসিক ও ফায়ার সার্ভিস। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকার প্যারাডাইজ ভবন, এমডি স্কয়ার, মনির টাওয়ারে এ তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব ভবনে কাচ্চি ভাই, সুলতানস ডাইন, ডাইনিং লাউঞ্জ, কেএফসি, খানাস, দাওয়াত ই মেজবান, দ্য রুফটপ, পিজ্জাবার্গ, চিলক্সের মতো নামিদামি খাবারের দোকান রয়েছে। অভিযান সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ভবনে গিয়ে সেখানে দেখা গেছে কোথাও কোথাও অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। অনেক রেস্টুরেন্টে রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকটি ভবনে নেই জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা (ইমার্জেন্সি এক্সিট)। এসব বিষয় প্রত্যক্ষ করে দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধানে সময় দিয়ে সতর্ক করা হয় মালিকদের। অভিযান পরিচালনাকারীরা রেস্টুরেন্টগুলোর খাবারের ভেজাল ও মান পরীক্ষা করে সতর্ক করে দেন। অভিযানে অংশ নেওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ টিম এ অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা বলেছি যেন দ্রুত অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ব্যবস্থা করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এখানে আছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক রেস্টুরেন্টে রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা বলেছি যেন নিচে এবং নিরাপদ দূরত্বে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে ব্যবহার করা হয় এবং এ ব্যাপারে আমরা জোর দিয়েছি। কয়েকটি ভবনে জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা নেই। সেটিও দ্রুত কীভাবে করা যায়, দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা খাবারের মান ও বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও সতর্ক করেছি। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আমরা ঢাকার ঘটনার পর উদ্বিগ্ন। নাসিকের সহায়তায় আমরা অভিযান চালিয়েছি। যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো যেন দ্রুত সমন্বয় করে সমাধান করে নেওয়া হয় সেজন্য আমরা সতর্ক করে সময় দিয়েছি। অভিযানে নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুলের নেতৃত্বে আরও উপস্থিতি ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হীরন, ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত