তামাককে মাদকের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে দেশের যুব সমাজকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান কিশোর-তরুণদের মাদক সেবনের পথে নিয়ে যেতে উসকে দিচ্ছে। চলচ্চিত্র, টিভি নাটক এবং ও সিরিজের ধূমপানের দৃশ্য-কিশোর-তরুণদের ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে। এটা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে জানান তারা। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘চলচ্চিত্রে ধূমপানের দৃশ্যের বাধ্যবাধকতা ও আইনের কার্যকারিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় মানসের প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে জান্নাত বলেন, বাংলাদেশের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫-এর ধারা-৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধারায় সিনেমা, নাটক বা প্রামাণ্যচিত্রে তামাকজাত দ্রব্যব্যবহারের দৃশ্য প্রচার, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আইনে নিষিদ্ধ থাকলে ও সাম্প্রতিককালে নির্মিত জনপ্রিয়তা পাওয়া একাধিক চলচ্চিত্রে, পোস্টার ও ট্রেলারে প্রধান চরিত্রগুলো দ্বারা অসংখ্যবার ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। নাটক এবং বর্তমানে তরুণদের মাঝে অধিক জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত ওয়েবসিরিজগুলোতে ও ধূমপানের দৃশ্য চলছে দেদারছে, যা আমাদের কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে প্ররোচিত করছে। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক তার বক্তব্যে বলেন, মাদকাসক্তি ও ধূমপান যুবকদের কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে। উৎপাদনশীল যুব শক্তি গড়ে না উঠলে স্মার্ট বাংলাদেশ করা কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।